
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পটিয়া আসনের নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর আলটিমেটামের পর পটিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌকার প্রার্থী স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওসি দ্রুত বদলীর আলটিমেটাম দেন। এর আগে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন কমিশন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো: জহিরুল ইসলাম পটিয়া থানার ওসির বদলী চেয়ে প্রজ্ঞাপনজারী করে। এতে চট্টগ্রাম জেলা ডিবি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো: হাবিবুর রহমানকে ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়৷ এটি কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তীতে গত ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই সার্কেল অফিসের জসীম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব পাঠানো হলেও কার্যকর করেনি৷ আলটিমেটাম দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়।
নৌকার প্রার্থী ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তার অনুসারীদের ওসি নেজাম উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে হয়রানি করছে। তফসিল ঘোষণার ৩/৪ দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পছন্দের ওসি নেজামকে পটিয়া থানায় নিয়ে আসেন৷ পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে বদলীর প্রস্তাবনা দিলেও অদৃশ্য কারনে কার্যকর করছে না ইসি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও নৌকার সমর্থকদের হয়রানি করলে এবং এর জন্য অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটলে ওসি দায়ী থাকবে। ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ভারপ্রাপ্ত ওসি কিংবা নতুন আরেকজন নতুন ওসিকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মহিলা এমপি চেমন তৈয়ব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আয়ুব আলী, যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম আবদুল মতিন চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মোঃ আবু তৈয়ব, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ম.ম টিপু সুলতানা চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.ক.ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডাক্তার তিমির বরণ চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দীন, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সহ-সভাপতি কাউন্সিলর গোফরান রানা, সাধারন সম্পাদক এমএনএ নাছির, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী তিনবার এমপি থাকাকালীন সময়ে মানুষের ক্ষতিপূরণের টাকা না দেওয়ার কারনে এলাকায় তাকে ধাওয়া করছেন৷ এসব দলীয় লোকজনের উপর চাপা হচ্ছে এবং থানার ওসিকে ব্যবহার করে নৌকার কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।