আজ বুধবার ║ ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডে এবার এমপি হতে মনোনয়ন কিনলেন সরকারী কর্মচারী

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষনার পর সারাদেশে শুধু আওয়ামী লীগেই ফরম বিক্রয় হয়েছে গত চারদিন ১৭ কোটি টাকার । এর বাইরে জাতীয় পার্টি সহ জোটবদ্ধ দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নমিনেশন ফরম অনেকে কিনতে দেখা গেলেও, প্রথম বারের মতো সীতাকুণ্ডে সরকারী চাকুরি বিধি ও নির্বাচন কমিশনের বিধান লঙ্ঘন করে এক সরকারী কর্মচারীকে জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করতে দেখা যায়।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিদি -২৫ এর উপবিধি -১ অনুসারে সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত বিধান অনুসারে, কোন সরকারি কর্মচারী কোন রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোন অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হইতে অথবা অন্য কোনভাবে উহার সহিত যুক্ত হইতে পারিবেন না। চাকুরির অব্যাহতির তিন বছরের পূর্বে নির্বাচনে অংগ্রহনের সুযোগ নেই। যদিও বর্তমানে ৫ বছর করার সুপারিশ রাখা হয় ইসি থেকে।
জানা যান, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী মো: সালাহ উদ্দীন গত সোমবার (২০ নভেম্বর) উপজেলা রিটার্নিং অফিসার থেকে নিজে উপস্থিত হয়ে ব্যাংক ড্রাফট করে মনোনয় ফরম ক্রয় করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা অনিল কান্তি বড়ুয়। মো: সালাহ উদ্দীন উপজেলা বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের নড়ালিয়া গ্রামের নূর সোলেইমানের ছেলে। তাঁর ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ঘুরে দেখা যায় তিনি নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তবে মনোনয়নের বিষয়ে ফেইসবুকে কিছু শেয়ার করেননি।
এবিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো: সালাহউদ্দীনের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: সালাহ উদ্দীনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প কর্মকর্তা নূর উদ্দীন রাশেদ বলেন, বিষয়টি আমরাও জেনেছি, তবে তিনি কর্মস্থল থেকে এখনো অব্যাহতি নেয়নি। যা সরকারি চাকুরি আইনের পরিপন্থী।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাইনুল হক বলেন। বিষয়টি আমরা অবগত নয়। মনোনয়ন ফরম নেওয়ার সময় তিনি নিজেকে একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ি হিসাবে পরিচয় দেন। তবে নিবার্চন কমিশনের বিধান অনুযায়ী কোন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। বিষয়টি রির্টানিং অফিসার যাচাই বাচাইয়ের পর প্রমানিত হলে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on linkedin
Share on telegram
Share on skype
Share on pinterest
Share on email
Share on print