আজ শুক্রবার ║ ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ শুক্রবার ║ ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৮ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে চান এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে চায়। এজন্য কিনেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম।
২৩ বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ থেকে সংসদীয় আসন ২৮৬ চট্টগ্রাম- ৯ (কোতোয়ালি- বাকলিয়া) আসনের নির্বাচন করার জন্য নৌকা’র মনোনয়ন ফরম নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরের এই এলাকায় আমার জন্ম, বেড়ে উঠা, শৈশব- কৈশোর কেটেছে এই এলাকায়, এই এলাকার মানুষের সুখ- দুঃখের সাথী হিসেবে তাঁদের অনুরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও জন সম্পৃক্ততার বিষয়টি দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অবশ্যই বিবেচনায় নিবেন।’
চট্রগ্রাম কোতোয়ালী- বাকলিয়া এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রামে গন মানুষের অধিকার নিয়ে আন্দোলন -সংগ্রামে রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়ে, রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন, যে কোন প্রয়োজন পাওয়া যায়। এই নেতার রয়েছে অসাধারণ নেতৃত্বগুন, যাকে মনোনয়ন দিলে সহজে ভোটারদের কাছে টানতে পারবেন বলে বিশ্বাস করে এলাকার জনগণ।
আওয়ামীগের নেতাকর্মীরা বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে যেখানেই দলীয় কর্মসূচী সেখানে ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সরব উপস্থিতি।
মাঠের আন্দোলন চাঙ্গা করতে সাইমুল চৌধুরী স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যায় সবসময়। যার রক্তের সাথে মিশে আছে রাজনৈতিক চেতনা , চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে ছাত্র সংসদের বির্তক বিষয়ক সম্পাদক, একই কলেজের জিএস, এবং ভিপির দায়িত্ব পালন শেষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ।
ছাত্র রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা এই নেতা রাজনৈতিক কারণে কারাবরন করেছেন বার বার, ৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে এরশাদ বাহিনীর হাতে আটক হয়ে প্রথম কারাবরণ করতে হয়, ৯৪ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানে গোলাম আজমের জনসভা প্রতিরোধ করতে গিয়ে হত্যা মামলার আসামি হতে হয়, এরপর ৯৬ সালে খালেদা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ট্রাকের চাপায় পা ভেঙে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় থাকতে হয় ৬মাস, ২০০৭ সালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে আবারো আটক হয়ে কারাগারে যেতে হয়। এর পরেও অদম্য এই নেতা একদিনের জন্যও দমে যায় নি, বসে থাকে নি ঘরে। সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যান নিয়মিত।

পেশায় আইনজীবী হয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে চট্টগ্রাম আইনজীবীদের নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এত সুযোগ সুবিধা থাকতেও ভোগ বিলাসে লিপ্ত না হয়ে প্রতিনিয়ত চষে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক ময়দানে এই নেতা।
এলাকার ভোটারদের দাবী জনগণের সাথে সম্পর্কে রয়েছে এমন জনসম্পৃক্ত লোককে মনোনয়ন দিলে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশানুরূপ হতো।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on linkedin
Share on telegram
Share on skype
Share on pinterest
Share on email
Share on print

সর্বাধিক পঠিত

আমাদের ফেসবুক

আমাদের ইউটিউব

সর্বশেষ খবর