আজ বুধবার ║ ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ বুধবার ║ ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

    পটিয়ায় ‘গুলশান মেহেরীন’ দখল বেদখল নিয়ে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী রেষ্টুরেন্ট গুলশান মেহেরীন মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পটিয়া পৌর সদরের পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন গুলশান মেহরিনের মালিকানা নিয়ে ডা: কানিজ ফাতিমা ও হাসান উল্লাহ চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে’র আশংকা করছেন পৌরসদরের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিন দুপুরে দখল বেদখলের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পটিয়া থানার একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় নিয়ে দু’পক্ষেই পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেনক।
    গুলশান মেহেরীণের মালিক ডা: কামাল উদ্দিনের কন্যা ডাঃ কানিজ ফাতেমা শরীফ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গুলশান মেহরিন সহ পুরো ১০ গন্ডা ভূমি তার পৈত্রিক ও আপন ভাই মারা যাওয়ায় একক ভাবে মালিক বলে দাবি করেন। উক্ত জায়গা নির্মিত পৃথক দুইটি ভবন রয়েছে। একটি গুলশান মেহেরীণ নামে একটি রেস্তুরায় রয়েছে। উক্ত রেস্তুরায় ভাড়াটিয়া পটিয়া উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী ব্যবসা করে আসছে। তিনি ও তার স্বামী অসুস্থ দাবি করে তিনি চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন কিন্তু হাসান উল্লাহ তার প্রাপ্ত দোকান ভাড়া ঠিকমত পরিশোধ না করে জবর দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের জায়গা হাসান উল্লাহ চৌধুরী অন্য কারো নিকট বিক্রয় করতে দিচ্ছে না এমনও অভিযোগ করেন। সাংবাদিকদের রেস্তুরা দখলের বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান আমি কেন দখল করতে যাব। মূলত দোকানের ভাড়াটিয়া হাসান উল্লাহ বেশকয়েক মাস যাবত সঠিক সময়ে ভাড়া পরিশোধ না করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আবছার উদ্দিনকে তার প্রাপ্ত সকল সম্পত্তির দায়িত্ব অর্পন করেন বলে জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবছার উদ্দিন ও আবু ছালেহ মো: শাহারিয়ার।
    অপরদিকে, একই ঘটনায় গুলশান মেহেরীনের পরিচালক হাসান উল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে গুলশান মেহেরীন সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক অংশীদার ডাঃ কানিজ ফাতেমাকে প্রতি মাসে ভাগের টাকা দিয়ে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক অংশ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দর নির্ধারণ করে অগ্রিম ২২ লক্ষ টাকা কানিজ ফাতেমা গ্রহণ করেন। কিন্তু একটি ভূমি দস্যূ চক্রের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন তালবাহানা করার পর পুরো প্রতিষ্ঠান দখলের উদ্দেশ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডাঃ কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে আবছার উদ্দীন, শাহরিয়ার মোহাম্মদ শাহারু ও আবু তাহের সহ তাদের সঙ্গীয় ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী হাতে, লাঠি সোটা, দা, কিরিচ, তীর, মার্বেল সহ বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গুলশান মেহেরীনে প্রবেশ করে। এসময় কর্মচারীদের মারধর করে রেষ্টুরেন্ট থেকে বের করে দিয়ে সিসি ক্যামরার ডিভাইস খুলে ফেলে এসি বন্ধ করে দেয়। ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। সে বাইরে থাকায় কর্মচারী মারফত মোবাইলে খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। পুলিশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করে। এছাড়া ডাঃ কানিজ ফাতেমা সহ দখলবাজদের রেষ্টুরেন্ট থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তিনি পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ওয়ারিশদের মধ্যে মোঃ ইউসুফ চৌধুরী, মোঃ মাহাবুবুল আলম চৌধুরী ও জাগির হোসেন চৌধুরী।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print

    সর্বাধিক পঠিত

    আমাদের ফেসবুক

    আমাদের ইউটিউব

    সর্বশেষ খবর