
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর মানুষ নিজের ঘর বাড়ি হারিয়ে দুর্যোগ চলাকালীন সময় আশ্রয় নেয় সাইক্লোন শেল্টার ভবনে। তবে যখন সেই সাইক্লোন শেল্টার নিজেই দুর্যোগের ভয়াবহতায় পড়ার শঙ্কায়, তাহলে জনগণকে রক্ষা করবে কে?
জরাজীর্ণ ভবন, খসে পড়ছে ইট-পাথর-বালি, দরজা-জানালা নেই, দেখতে যেন এখনি ধসে পড়বে। এমন ভয়াবহতায় পতিত হয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্লাহ পাড়া সাইক্লোন শেল্টার। যেন নিরবে একপায়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে ভবনটি।
১৯৭২-৭৩ সালে (সম্ভাব্য) নির্মিত এ ভবনটিতে একটা সময় দুর্যোগকালীন আশ্রয় নিতো শত-শত মানুষ। পরবর্তীতে এই ভবনেই পাঠ্য কার্যক্রম চলতো বদি উল্যাহ পাড়া ওয়ালী আহমদ চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে ভবনটির বেহাল দশায় পাশেই নতুন ভবন নির্মাণ করে পাঠদান চলমান ওই বিদ্যালয়ের। গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে জরাজীর্ণ ভবনের সংষ্কার না হওয়াতে হতাশ বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা।
সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া জানান, বর্তমানে আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র। এই ভবনে শিশু শ্রেণীর মাধ্যমে আমার প্রথম স্কুল জীবন শুরু হয়। ভবনের এই অবস্থা খুবই দুঃখ লাগে।
স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ আবুল হাশেম জানান, যুদ্ধের পর কমরআলী, মাদবরহাট এবং বদিউল্লাহ পাড়া সাইক্লোন শেল্টার একসাথে নির্মাণ হয়। বাকি দুটা এখনো ভালো থাকলেও বদি উল্লাহ পাড়ার ভবনটা গত ১০/১২ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া জানান, বহুবছর ধরে ভবনটির বেহাল ধসা। এটির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিদায়ী উপজেলা ইউএনও মহোদয়ের নিকট আবেদন করা হয়েছিলো। তবে এখনো কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার জানান, ভবনটি সংষ্কারের অবস্থায় নেই খুবই ভয়াবহ অবস্থা। তাই এটি ভেঙ্গে পেলার জন্য উপজেলায় আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন জানান, ভবনটি সম্পর্কে আমাকে কেউ এখনও অবগত করেনি। যেহেতু ভবনটি বহু পুরানো এটি সম্ভবত সংষ্কারের অবস্থায় নেই। তাই যদি স্থানীয়দের কাছ থেকে আবেদন করা হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। তারপরও বিষয়টি আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।