গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম রাউজান ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখপাড়া ইউনিট শাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের যৌথ উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উদযাপন উপলক্ষে ১১ নভেম্বর (শনিবার) ১ম দিবসে দাওয়াতে খায়র মহিলা মাহফিল/খতমে কোরআন ও ১২নভেম্বর (রবিবার) ২য় দিবসে খতমে গাউছিয়া ও আজিমুশশান সুন্নী সমাবেশ গাউছিয়া কমিটির অফিস সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এমদাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে উদ্ভোধক ছিলেন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া।উদ্ভোধক বাবুল মিয়া বলেন সুন্নিদের ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নাই,সুন্নিদের এক হয়ে দলমত নির্বিশেষে মুহাম্মাদ সাঃ’র আদর্শিক ইসলাম তথা মানবতার কর্মে মনোযোগ দেওয়ার বিনীত নিবেদন জানান।
সংগঠনের দাওয়াতে খায়র সম্পাদক সাব্বির উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন কক্সবাজার রামু হযরত জঙ্গলি পীর (রাঃ) ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ রজভী।প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা শাজাহানপুর গাউছুল আজম জামে মসজিদের খতিব হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শায়েখ আব্দুল মোস্তফা রহিম আল-আযহারী।বিশেষ বক্তা ছিলেন কচুখাইন মুহাম্মদীয়া মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও শেখপাড়া জামে মসজিদের খতিব হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ আইয়ুব বদরী।শেখপাড়া জামে মসজিদ পূনঃ নির্মাণ কমিটির আহবায়ক মীর সায়েম বাদশা,
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শায়ের মুহাম্মদ মহিউদ্দিন তানভীর।বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াপাড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য মুহাম্মদ সোহেল।এসময় উপস্থিত ছিলেন জহির আহমেদ জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা আজহার মিয়া আলমাইজভান্ডারী,নোয়াপাড়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট হাফেজ মাওলানা আজিজ উদ্দিন কাদেরী,মাওলানা নঈম উদ্দিন রজভী,গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ নোয়াপাড়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন,যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইউনুস,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহেদুল হক, অর্থ সম্পাদক আবদুল আল মামুন, শেখপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ এর সহ-সভাপতি আখতারুল ইসলাম জসিম,সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া,হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া,মাওলানা হাসান মুরাদ, মাওলানা আজিজুর রহমান প্রমূখ সহ অসংখ্য উলামায়ে কেরাম ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সান্নিধ্য লাভ করেছেন এবং ঈমানের ওপর অটল অবিচল থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন, তাদেরকে সাহাবি বলে।উম্মতে মোহাম্মদির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মহান জামাত হলো সাহাবায়ে কেরাম।প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সঙ্গ ও সান্নিধ্য লাভের বরকতে তাঁরা সকল প্রকার মলিনতা থেকে ছিলেন মুক্ত। সর্ব প্রকার জুলুম-নির্যাতন, দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মাঝেও তাদের হূদয় ছিল নবীপ্রেমে ভরপুর। ধৈর্য, ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁরা অর্জন করেছিলেন মহান আল্লাহ ও রাসুল সাঃ’র সন্তুষ্টি।সকল হক্কানি ওলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে একমত যে,কোনো অলি বা পীর-মাশায়েখ যতই উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছান না কেন,একজন সাধারণ সাহাবার সমতুল্য কখনো কেউ হতে পারবেন না।কেননা তাঁরা সার্বিক দিক থেকে অনন্য ও অতুলনীয়। সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে উল্লেখ করেছেন।
প্রধান বক্তা আব্দুল মোস্তফা রহিম বলেন, ইসলামের পক্ষ থেকে দেওয়া নারীর স্পষ্ট অধিকার দেনমোহর আদায়ের প্রবণতা না থাকলেও যৌতুক নেওয়ার তোড়জোর রয়েছে সমাজে অনেকের মাঝে যা খুবই দুঃখজনক অথচ যৌতুক একটি নিপীড়ন মূলক প্রথা,কনে পক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে পরিবার থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আদায় করা হয়।অথচ আল্লাহ তায়ালা কাউকে জুলুম করে সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করে বলেন, তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না।পরিশেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কমনা করে মুনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।