বারবার হত্যা চেষ্টা করেছেন। ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে আগে ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। এখন শান্তি ফিরে এসেছে।
আমার মা, বাবা, ভাইদের হত্যার বিচার করতে পারতাম না। ইনডেমনিটি দিয়ে রেখেছিলেন। আমি দেশের জন্য কাজ করতে এসেছি, এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে এসেছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আমার কেউ নেই। সবাইকে হারিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। আপনারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। সবাইকে আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করছি। (জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু)
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘বিএনপিকে এখন লালকার্ড দেখাতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষকে আবারো যুদ্ধ করতে হবে। ষড়যন্ত্র শুরু করছে চট্টগ্রামের আমির খসরু আর ফখরুল সাহেবরা। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ওবাযদুল কাদের আরও বলেন, ‘শুধু টানেল নয়, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্ব ব্যাংক যখন ঋণ দিবে না জানিয়ে দেন, তখন আমাতের অনেক নেতাও হতাশ হয়েছিলেন। কিভাবে পদ্মা সেতু হবে! তখন সংসদে দাঁড়িয়ে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু হবে। পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এমনকি এক দিনে একশ সেতুও উদ্বোধন করেছেন আমার নেত্রী। এসব বঙ্গবন্ধু কণ্যার অর্জন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালণায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা।