
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদরাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। তারাই মুক্তিসংগ্রামের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। তাদের বিসর্জিত রক্তই মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের শক্তি। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই সকল আন্দোলন-সংগ্রামের ডালপালা গজিয়েছিল। এজন্য ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনই মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। সালাম,বরকত, রফিক, শফিক ও জব্বাররা শিখিয়ে গেছেন কিভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, কিভাবে অর্জন করতে হয় আর কিভাবে ভয়কে জয় করে বিজয় ছিনিয়ে নিতে হয়।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির উদ্যোগে নগরের বায়েজিদ লিংক রোডে সংগঠনের কার্যলয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান উদ্দিন খাঁনের সভাপতিত্বে ও আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেফাজুতুল মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল হাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধার কণ্যা রাজিয়া খানম প্রিয়া, মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মাহাবুবুর রহমান, সরোয়ার আলম চৌধুরী, মো.মাহবুবুল আলম, কামরুল হোসান, বিধান চৌধুরী, নাছির উদ্দীন চৌধুরী রতন, ইসমাইল হোসেন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম, মো. কালাম, কফিলুল করিম ও পলাশ দত্ত সহ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন আমাদের সকল অনুপ্রেরণার উৎস। ভাষা আন্দোলনই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন ঢেলে দিতে হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি একটা সময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ব্যাপকভাবে বিকৃত করা হয়েছে। একুশকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু একুশের আগেও যে ভাষা আন্দোলন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে- সেটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে লুকিয়ে রাখতেই এটি করা হয়েছে। পাকিস্তানিরা বাংলাকে গভীরভাবে অপছন্দ করতো। তারা তাদের হীনমন্যতার কারণেই এটি করতো। কারণ ভাষা হচ্ছে সংস্কৃতির আধার। এটিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারলেই সংস্কৃতি বাধাগ্রস্ত হবে। সেই চিন্তা থেকেই তারা এটি করেছে।’
বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির সঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন। বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক আলোড়ন, লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সেই সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক লড়াই, অতঃপর সমাজ গঠনের জায়গায় দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন।’
তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকণ্য শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র বিমোচন ও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে চলমান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ##