হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে বেসরকারি বিমানের টিকেট সিন্ডিকেটের গলাকাটা দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনে সরব চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক সুজন।
সুজন বলেন, হরতাল-অবরোধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে হরতাল-অবরোধের মধ্যেও জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাস,ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের কারণে মানুষ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে,বিভিন্ন বেসরকারি বিমান হরতাল-অবরোধের সুযোগটাকে পরিপূর্ণ অব্যবসায়িকভাবে কাজে লাগাচ্ছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা তিন হাজার টাকা মূল্যের বিমানের টিকেটকে দশ-বারো হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যাহা চরম অনৈতিক বলেও মনে করেন তিনি। চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। প্রতিদিন ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে প্রচুর মানুষ আসা যাওয়া করে। এর মধ্যে অনেক যাত্রী বিমানে আসা যাওয়া করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।আবার এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কর্মরত দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও বিদেশি ইনভেস্টরও রয়েছেন।এভাবে বিমানের টিকেটের অতিরিক্ত মূল্যের কারণে যাত্রীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে এর ফলে প্রচন্ডরকমভাবে দেশের সুনামও নষ্ট হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের সুযোগে এভাবে যাত্রীদের পকেট কাটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিমান সাধারণত উচু শ্রেণীর যাত্রী পরিবহন করে থাকে।পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত কারণে কিংবা চিকিৎসাজনিত কারণেও বিমানে ভ্রমণ করে থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগে বিমানগুলো যাত্রীদের সাথে যে ধরণের অপেশাদারি আচরণ করেছে তাতে যাত্রীসাধারণের হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।এর ফলে বিমানগুলো যে নিঃসন্দেহে যাত্রী সংকটে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ছাড়াও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিমানে আসা যাওয়া আগের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া হরতাল-অবরোধে কারণে অনেক যাত্রী বিমানকে নির্ঝঞ্ঝাট পরিবহণ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। সে সুযোগটাকে ব্যবহার করে বিমানের অব্যবসায়িক মনোভাবের ফলে এসব বিমানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবী জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।