যুক্তরাষ্ট্রে ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ি থেকে তিন দফায় নথি উদ্ধার করলো দেশটির কর্মকর্তারা। নতুন করে অতিরিক্ত আরও পাঁচটি পৃষ্ঠা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এ ধরনের নথির তথ্য ফাঁস হলে গুরুতর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এগুলোর মধ্যে কিছু নথি অতি গোপনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাইডেনের আইনজীবী রিচার্ড সুবার বলেছেন, গোপন নথিগুলো তাৎক্ষণিক বিচার বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ের নথি এগুলো।
বাইডেনের সহযোগীদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বাইডেন যখন বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এসব নথি তখনকার সময়ের।
এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়ি থেকে গোপন নথি উদ্ধারের ঘটনার বিস্তৃত তদন্তেও একজনকে স্পেশাল কাউন্সিল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ডেমোক্র্যাট বাইডেন তার রিপাবলিকান উত্তরসূরীর গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এখন সেই সমালোচনার তীরে বাইডেনও বিদ্ধ হচ্ছেন।
এ ঘটনা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতেও কালো ছায়া ফেলতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। বাইডেন ও ট্রাম্প দুইজনেই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজ নিজ দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। ট্রাম্পের অধীনে মেরিল্যান্ডের শীর্ষ কেন্দ্রীয় কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করা রবার্ট হুরকে বাইডেনের সাবেক কার্যালয়ে পাওয়া গোপন নথি নিয়ে তদন্তে স্পেশাল কাউন্সেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন গারল্যান্ড।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিছু গোপন নথি বাইডেনের বাড়ির গ্যারেজ ও সংশ্লিষ্ট কক্ষে পাওয়া গেছে। তারা এ সংক্রান্ত তদন্তে সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পদে থাকায় বাইডেনের জন্য আইনি ঝুঁকিও কম। তিনি যেকোনো গোপন নথির গোপনীয়তা তুলে নেওয়ার বিস্তৃত ক্ষমতা রাখেন, ওভাল অফিসের হর্তাকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ না আনার নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন অবিচল থাকায় বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে বাঁচার সুযোগও বেশি তার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হওয়া ট্রাম্পের অবশ্য এ ধরনের কোনো রক্ষাকবচ নেই।