সেলিম চৌধুরী: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল উদ্বোধনের দিনই (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী মুখ থেকে কালুরঘাট সেতু নির্মানের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা শুনতে চান সেলিনা বাদল। তিনি বলেন সারাদেশে এত উন্নয়ন হয় কালুরঘাট সেতু হয় না কেন? একেক বার একেক মন্ত্রী এসে কালুরঘাট সেতু নির্মানের কথা বলে যায় কিন্তু বাস্তবে আলোর মুখ দেখে না এই প্রকল্প। তাই তিনি এবার কর্ণফূলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল ঊদ্বোধনের দিনই প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে বোয়ালখালীবাসীর প্রাণের দাবী কালুরঘাট সেতু নির্মাণের সুস্পষ্ট ঘোষণা দাবী করেন।
তিনি বলেন আমার প্রয়াত স্বামী মঈন উদ্দীন খান বাদল নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কিছু চাননি তিনি এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি সেতু চেয়েছিলেন মাত্র। সেতু নির্মাণের দাবীতে তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ’এই সেতু দিয়ে যারা চলাচল করে তারা প্রতিদিন আমার মৃত মা বাপকে তুলে গালি দেয়, মৃত মা বাপকে গালি শুনিয়ে এমপির চেয়ারে বসে থাকার কোন অর্থ নেই।’
জন-মানুষের গণদাবী পূরণের আবদার নিয়ে তিনি সেই দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট এই সেতুর আবদার করেছিলো। আমিও আমার প্রয়াত স্বামীর সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি, ’আপনার হাত ধরেই সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, যার সুফল ইতিমধ্যে দেশবাসী ভোগ করছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নিকট এই বোয়ালখালীবাসীর দাবি অপূরনীয় রয়েই যাবে এটা হতে পারে না ! ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছেন কালুরঘাট সেতু করে দিবেন, তিনি অবশ্যই এটি করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু কন্যা বোয়ালখালীর মানুষকে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত করবেন না।
এই বিশ্বাস থেকে আমি আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যার মুখ থেকে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের সুস্পষ্ট ঘোষণা শুনতে চাই, এলাকার মানুষের গণদাবীর পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছিল এবং সবসময় থাকবে এটাই এলাকার মানুষ বিশ্বাস করে।’
গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম ৮ আসনের প্রয়াত সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদলের সহধর্মিণী সেলিনা খান বাদল আরো বলেন, ’আমি আমার স্বামীর পথ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে এলাকার মানুষের সুখে -দুঃখে সাথে আছি। এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর কি করছেন এলাকার মানুষ তা দেখছে। এলাকাবাসী চায় আমি তাদের সাথে থাকি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তাদের দাবীগুলো তুলে ধরি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, এ্যাসিন্টেন্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট সেলিম চৌধুরী, সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল, কাজী আয়েশা ফারজানা, শাহীনুর কিবরিয়া মাসুদ, মোদাচ্ছের হোসেন, রাজু দে, পুজন সেন, রাজু বড়ুয়া, জোনায়েদ প্রমুখ।