বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপজনিত আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার ( ১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি জুম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত জুম সভায় চট্টগ্রাম জেলার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিও, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে মতামত প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও যেমন কারিতাস, ব্রাক, ব্যুরো বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানান।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জরুরি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে হাসপাতাল, বিদ্যুৎ,গ্যাস, পানি ও সিটি কর্পোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সকল দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণ,বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সাথে ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও তিনি আরও জানান বিদ্যমান ৬০৯ টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩ টি) আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সভাপতির নির্দেশক্রমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলার ত্রাণসামগ্রী মজুদ পরিস্থিতি সভায় উপস্থাপন করেন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের নিকট ত্রাণ কার্য (নগদ) ২২,৩০,০০০/- টাকা, ত্রাণ কার্য (চাল) ২৪৪ মেঃ টন, গো-খাদ্য ৬,৮০,০০০/- টাকা, শিশু খাদ্য-৬,৮০,০০০/- টাকা, শুকনো খাবার ৪৭২ ব্যাগ, কম্বল ১০০০ পিস এবং ওরস্যালাইন ৪৭,০০০ টি প্যাকেট মজুদ আছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনের নিরিখে এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের বিভিন্ন টিম মাইকিং করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা আছে পাশাপাশি শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সকল পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছি।