
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবন এখন সংকটাপন্ন। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন। তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। এখানকার চিকিৎসকরা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যা করার করেছেন। এখন তাকে বিদেশে নিতেই হবে। কিন্তু দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই নেতাকে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার। কারণ খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে জনগণের সামনে দাঁড়ান, তাহলে আওয়ামী লীগ এক মুহূর্তও দাঁড়াতে পারবে না। তাই তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় তাহলে এই আওয়ামীলীগ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার অধীন আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এখন আমাদের এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমরা ইতিমধ্যে পদযাত্রা করেছি, রোডমার্চ করেছি, সমাবেশ করেছি। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি। সরকার শুনছে না। তাই এখন শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করতে হবে।
তিনি সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহবুবের রহমান শামীমের নেতৃত্বে কাজীর দেউরী নুর আহমদ সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবলী রোড হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাউসার হোসেন বাবু, মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ওলামা দলের আবদুল হান্নান জিলানী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, জাসাসের সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন প্রমূখ।