
সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আওতাধীন পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে ত্যাগী, কারানির্যাতিত ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির কমিটি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে নগরীর অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়কের নয়াহাট এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
মিছিলটি নয়াহাট থেকে শুরু হয়ে বকসু নগর, কয়লার ঘর হয়ে অক্সিজেন মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এই পকেট কমিটি দ্রুত বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবী জানান।
পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল বালির সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান ও সাবেক সদস্য আবদুর রহিম।
প্রধান অতিথি বলেন, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির যে কমিটি ঘটন করা হয়েছে তা নেতাদের পকেট কমিটি। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যারা আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে নির্যাতিত হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা নেতাদের কথামত চলবে তাদেরকেই এই পকেট কমিটিতে রাখা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে বিগত সময়ে কারানির্যাতনের শিকার হওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে পরিবারতন্ত্র কায়েম করে পকেট কমিটি করা হয়েছে। বহু যোগ্য নেতা থাকতেও একজন নিস্ক্রিয় ব্যক্তিকে আহবায়ক করেছে। আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন ভূমিকা ছিল না৷ যাকে সদস্য সচিব করেছে তার সাথে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র আজম নাছিরের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাইরাল হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী একটি পকেট কমিটি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি পরিবারকে খুশী করতেই যোগ্যদের বাদ দিয়ে সুবিধামতো লোকদিয়ে পকেট কমিটি করা হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতা অনেকেই ছিলেন দুঃসময়ে ত্যাগ স্বিকার করেছেন অথচ নতুন কমিটিতে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ওয়ার্ড ও থানা বিএনপির সাবেক নেতাদের নামে বারবার মামলা হামলা হলেও বর্তমান কমিটির কোনো সদস্যদের নামে কোনো মামলা হয়নি। আমরা এই হাইব্রিড আওয়ামী দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগীদের দিয়ে নতুন কমিটি চাই।
তিনি ঘোষিত আহবায়ক কমিটি বাতিল করে তৃণমুলের ত্যাগি নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবী জানান। তাছাড়া ওয়ার্ড কমিটি বাতিলের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অবিলম্বে যদি কমিটি বিলুপ্ত করা না হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বায়েজিদ থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোরশেদুল আলম, মফজল আহমেদ কোম্পানি, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সওদাগর, মো. ইউসুফ, আবুল বশর, মো. আলম, মো. আলমগীর, মো. আশরাফ, নুরু সওদাগর, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড় বিএনপির সাবেক সি. যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক ওসমান গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম কালু, প্রচার সম্পাদক মো. চান মিয়া, অর্থ সম্পাদক বেলাল সরদার, থানা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আজম নাজের, যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. ইলিয়াছ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস ছবুর, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মো. ইলিয়াস, ওয়ার্ড় বিএনপির সহ সভাপতি বাদশা মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মো. ফারুক, মাহবুব আলম কাজল, বিএনপি নেতা মো. মুছা, মহিউদ্দিন জুয়েল, আবু বক্কর, নাজিম উদ্দীন নাজু, আনোয়ার হোসেন, আইয়ুব খান, মো. নাছির, আবু তাহের, আনোয়ার হোসেন সুজন প্রমুখ।