
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে পুলিশ পরিচয়ে একটি গরুর খামারের কেয়ারটেকার মো: হোসেন (৪৫) কে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে
মারধর করে খামার থেকে গাভী সহ দুইটি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
ঘটনার পরের দিন রাতে ওই এলাকা থেকে সন্দেহ জনক চার যুবক’কে স্থানীয়রা আটক পুলিশের কাছে তুলে দেন।
এসময় তাদের’কে তল্লাশি করে একটি টিপ চুরি ও ২টি টস লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন,মো: আরমান (২৪), মো: হাশেম (২৩), নাঈম উদ্দীন সুমন (২৩) ও ফারহাদ বিন আজিজ (২৩)। তারা সবাই কর্ণফুলী ও পটিয়া উপজেলা স্থানীয় বাসিন্দা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩ টা ৪৫ মিনিটের দিকে কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের (৪ নম্বর ওয়ার্ড)
ইয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির শাহ অহিদিয়া ডেইরি ফার্ম এলাকা সন্দেহ জনক অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
খামারের মালিক একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ জমিরের ছেলে মো. ইকবাল বাহার (৪২)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত প্রায় ৪টার দিকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি ছোট মিনি পিকআপ যোগে ১০/১২ জন লোক পুলিশের পোশাক পড়ে খামারে প্রবেশ করে। এ সময় খামারে কেয়ারটেকার মো: হোসেন প্রথম ৪ জনকে পুলিশের পোশাক পড়া দেখে স্যার বলে সম্বোধনও করেন তিনি। কিন্তু পরক্ষণেই দেখেন তাদের মধ্যে পিছনে কয়েক জনের গায়ে পুলিশের কোন পোশাক নেই। তবে সবাই মুখোশ পরিহিত ছিলো। তাদের হাতে লম্বা কিরিচ, রাম দা সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।মুহূর্তেই অতর্কিতভাবে হোসেনের উপর হামলা চালান ডাকাতরা, মারধর করে খামার থেকে দুটি গরু পিকআপে তুলে নেয়। তারপর পালিয়ে যান। এর মধ্যে একটি বড় গাভী ও আরেকটি বাছুর। দুটি গরু মিলে প্রায় তিন লাখ টাকা হবে বলে জানান তিনি।
খামারের মালিক ইকবাল বাহার জানান, গতকাল রাতে আমার খামারে পুলিশ পরিচয়ে ২টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়, আজ রাত প্রায় সাড়ে তিনটার অপরিচিত দিকে ৪ যুবক’কে আমার খামারের পাশে সন্দেহ জনক ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায় পরে তাদের সাথে কথা বলে সন্দেহ জনক মনে হলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশ ‘কে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের আটক করেন।
এ বিষয়ে শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোবারক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই ওসি স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমি চেকপোস্টে ডিউটি থাকায় যেতে পারিনি। তবে অভিযোগকারীরা জানান মেট্টো পুলিশের পোশাক পরে গরু ডাকাতি করা হয়েছে। ঘটনাটি সত্য। পাশের সিসিটিভিতে তা স্পষ্ট হওয়া গেছে। পরের দিন রাতে খামারের আশ পাশে ঘুরাঘুরি করছিলেন চার যুবক, পরে স্থানীয়রা তাদের সাথে কথা বলে সন্দেহজনক মনে হলে তারা পুলিশকে দেয়,তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।