
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে গভীর রাতে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও নিরাপত্তা দপ্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে বিস্ফোরণের স্থলগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় জড়িত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চবির নিরাপত্তা দফতরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতকাল রাতে কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও নিরাপত্তা দফতর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ জায়গাগুলোতে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি।
চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তিনটি আওয়াজ শোনা গিয়েছিলো, তবে দুইটি ফোটানো ককটেল পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে হয় যারা হরতাল বা অবরোধ করছে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য এগুলো করছে।
চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, বিএনপি জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল বা শিবির ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা মাঠের শক্তিতে না পেরে রাতের আধারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়েছে৷
চবি ছাত্রদলের সভাপতি ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন মোহসীন বলেন, আমাদের জায়গা থেকে এধরনের কাজ করার প্রশ্নই আসে না। আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।