
লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ২০১৪ সাল থেকেই নৌ বাহিনীর সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে সেখানে কাজ করছে এমন তথ্য জাতিসংঘের ওয়েব সাইটের। লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) এ অংশ নিতে ৭৫ সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে গত ১৩ অক্টোবর। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বিমান যোগে লেবানন গিয়েছে বিশাল এ টিমটি। লেবাননে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’ এ মোতায়েন রয়েছে নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’। এই নৌসদস্যগণ ইউনিফিল শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান করেছেন। চট্টগ্রাম বিমান বন্দর ত্যাগকালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চীফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী লেবাননগামী নৌ সদস্যদের বিদায় জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান ৭৫ নৌ সদস্যের টিমটিকে। বানৌজা ঈসা খান এ লেবাননগামী নৌ সদস্যদের আনুষানিক বিদায় জানানো হয়। এসময় লেবাননগামী নৌ সদস্যদের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে হবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা নৌ সদস্যদের একযোগে কাজ করার দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
আরো জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে আসছে। লেবাননের ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছে নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’। লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে এ টিমের নৌ সদস্যরা। পাশাপাশি উক্ত জাহাজ লেবানীজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা করছে। এছাড়াও সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ার ক্রাফটের উপর নজরদারী রেখেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিচ্ছে নৌসদস্যরা। লেবাননের সামরিক সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশীদের নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করছে শান্তিমিশনে অংশ নেওয়া সদস্যরা। লেবাননে বাংলাদেশী নৌসদস্যদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করেছে।















