
জনগণের সম্পত্তি যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে তাদের সম্পত্তিও গণরোষের শিকার হতে পারে,জনগণের সম্পত্তি যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে তাদের সম্পত্তিও গণরোষের শিকার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। বিএনপি-জামায়াত চক্রের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগনের জানমাল রক্ষায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) নগরীর নিমতলা চত্বরে বন্দর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
সুজন বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন বানচালের অপতৎপরতায় মাঠে নেমেছে। জ্বালাও-পোড়াও করে,জনগনের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হবে না,কারণ নির্বাচন বানচাল করার সে শক্তি তাদের নেই। জনগন এখন আর পিছনে ফিরে যেতে চায় না।বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোটের দুঃশাসন বাংলার মানুষ এখনো ভুলেনাই,ভুলতে পারে না। তাদের শাসনামলে দৈনিক ১৬-১৮ ঘন্টা লোডশেডিং, সারের জন্য কৃষককে গুলি করে হত্যা, দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান-এসব দুঃশাসন মানুষ এখন ভুলতে চায়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পসমূহের নির্মাণ কাজ শেষের পাশাপাশি সারা দেশে সুষম উন্নয়নের যে নজির স্থাপন করা হয়েছে তা ইতিপূর্বে আর কোন সরকার দেখাতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আর সাধারণ মানুষের সে চাওয়ার কারণেই বিএনপি-জামায়াত চক্রের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে পরাজয় জেনে তাই তারা নির্বাচন বানচালের ছক নিয়ে এগুচ্ছে। তাদের সেসব অশুভ উদ্দেশ্য কোনভাবেই সফল হতে দেয়া যাবে না। ইতোমধ্যে নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় একটি বিশেষ রাষ্ট্রের সংলাপের আহবান জানানো নির্বাচন বানচলের অপপ্রয়াস বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো বলেন সন্ধ্যায় তফসিল সংক্রান্ত ঘোষণা দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।তফসিল ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকার আহবানও জানান তিনি।কোন অবস্থাতেই রাজপথে কাউকে বিশৃংখলা করতে না দেওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসের চৌধুরী বাচ্চু, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইসকান্দর মিয়া, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও কাউন্সিলর মোর্শেদ আলী, কামাল ইসহাকী, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহাবুদ্দিন, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, জাকির মিয়া, হাবিব শরীফ, মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, ওয়াাহিদ মুরাদ রাসেল, জাকির মিয়া, নাছির উদ্দিন, মো. রাশেদ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমু, মো. নুরনবী, মো. ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম, ফরিদ কন্ট্রাকটর,মোকতার আহমদ প্রমূখ।