চট্টগ্রামে দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে ফাঁসাতে আদালতের সমন আটকিয়ে গোপনে ওয়ারেন্ট ইস্যু করিয়ে নিয়েছে বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ। এই অপরাধে তাকে ক্যাশিয়ার পদে বদলি করা হয়েছে। সে ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে সে চতুর্থ আদালতে ছিলেন।এই ঘটনায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহকে দিয়ে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) চীফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেস্ট মো. রবিউল আলম এই আদেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, একই ঘটনায় নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাকে গ্রেফতারের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এই গ্রেফতারে কোনো বিধি বহির্ভূত কাজ হয়েছে কিনা এবং থানায় নিয়ে আসার পর তার সঙ্গে নিয়মবর্হির্ভূত কোনো আচরণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) উপকমিশনারকে প্রধান, অতিরিক্ত উপ কমিশনারকে (উত্তর) সদস্য সচিব এবং সহকারী পুলিশ কমিশনারকে (সিটিএসবি) সদস্য করা হয়েছিল। ওই আদালতে গত ৩০ আগস্ট স্মারক নং-৪৮৭৬ মূলে সমন লিখা হলেও নেজারত শাখায় ওই সমন আর যায়নি। ওটা বেঞ্চ সহকারী নিজেই আটকে রাখে এবং গোপন করে ওয়ারেন্ট করায়। আর ওই ওয়ারেন্ট ওই দিনই পাঠিয়ে দেওয়া হয় থানায়।
জানা যায়, সমনটি লেখা হলেও তা গোপনে রেখে দেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এটি মামলার আসামিদের হাতে যাতে না পৌঁছায় সেজন্য কৌশলে নিজের ড্রয়ারে রেখে দিয়ে নেজারত শাখায় আর পাঠাননি।
পরে সমনকে কৌশলে গোপন করে মামলার ধার্য তারিখে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। এই ওয়ারেন্টের কারনে গত ৩ অক্টোবর ছৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লাকে আটক করা হলে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে তিনি মারা যান।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লার মৃত্যুর পর এএসআই মো. ইউসুফ আলী ও এটিএম সোহেল রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।