চট্টগ্রাম সিটি স্কুলের বার্ষিক সাধারণ সভা, ফলাফল প্রকাশ ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) নগরীর আগ্রাবাদ ছোটপোলাস্থ স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে উৎসবমূখর হয়ে ওঠে আয়োজন।
অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলওয়াত পাঠের পরপর অভিভাবক শিক্ষার্থী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবিহিত করণের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রোটারিয়ান ডা: অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোছাইন মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, এটিএন নিউজ ও বাংলাদেশ টুডে'র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান এবং সুফি গবেষক, এস এম আকাশ। প্রধান আলোচক ছিলেন, লায়ন এম সাইফুল্লাহ মুনির, উদ্বোধক ছিলেন প্রবীণ সমাজসেবক মোঃ কামাল উদ্দিন সর্দার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক, নুরুল আকতার, ইকবাল, মোঃ জয়নাল আবেদীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম আকাশ বলেন, দীর্ঘ দেড় দশক পরে বাংলাদেশ শিশুদের পাঠশালা থেকে শুরু করে গণমাধ্যম পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে যেভাবে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের স্বরচিত আয়না ঘরে জাতিকে আটকে রেখেছিল তা থেকে ২৪ সালের ছাত্র জনতার গনআন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে কলঙ্ক মুক্ত করেছে গোটা বাঙালি জাতিকে। আজ স্বৈরাচার মুক্ত দেশে সবাই মিলে বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মানে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আজকের ছাত্রকে আগামী বাংলাদেশের কর্ণধার হিসেবে তৈরি করতে হবে। সন্ত্রাস মাদক ও জুলুমকে শেষ করে আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সকলকে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক হয়ে হাল ধরার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে রোটারিয়ান ডা: অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোছাইন মানিক বলেন,যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই। আমি মহান হতে চাই না। নোবেল জয়ী হতে চাইনা। চাইনা টাকার পাহাড় গড়তে,আমার স্বপ্ন বৈষম্যে মিলিত হয়ে শান্তির ও সবার জন্য সহজলভ্য মৌলিক অধিকার আদায় করে যে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে তা থেকে যেন কোন সন্তান শিক্ষা গ্রহণে বঞ্চিত বা হয়। সে যে পরিবারেরই সন্তান হোক তার নিশ্চিত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে আমাদের। আমি এই সমাজে একটি স্বাক্ষর রেখে যেতে চাই যেন আমার প্রতিষ্ঠিত সকল প্রতিষ্ঠান থেকে আজকের ছাত্র ছাত্রী আগামীর দেশ পরিচালক হয়। আমি আমার সকল ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে মরেও বেঁচে থাকতে চাই। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে সেই সুযোগ দান করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে প্লে নার্সারি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্র ছাত্রীদের মেধার মান উন্নত সনদ ও ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে গোটা আয়োজন সম্পন্ন হয়।