চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, দেশের সব প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হলো বাংলাদেশ সচিবালয়। এই সচিবালয়ের ৭ নাম্বার ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাজনক স্থানে আগুন লাগা এবং একজনের মৃত্যু ও কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেখানে কীভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, তা আমার বোধগম্য নয়। সচিবালয় এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনও নাশকতা কিনা তা তদন্ত করা দরকার। আমি সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ২১নং জামাল খান ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে গরীব অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এই ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের উদাসীনতা ও অসতর্কতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। সেইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন এবং সতর্ক হওয়া উচিত।
জামালখাঁন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবু মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা দিদারুল ইসলাম পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক সাহেদ বক্স, এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আশরাফুজ্জামান স্বপন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ দেলোয়ার, হাসানুল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ সেলিম, আমিন উল্লাহ, তাসলিমা আহমেদ, মোঃ আলী হোসেন, শাহ নেওয়াজ, নুর হোসেন, মোঃ ওমর ফারুক
টারজান, সৈয়দ সাফওয়ান আলী, মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ মোবারক হোসেন, মোঃ শাহ সাবাহ আনি প্রমূখ।