সন্দ্বীপে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনফারেন্স রুমে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপজেলার ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক ও প্রস্তাবকারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রিটার্নিং অফিসারের সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকতা এবং জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বেলা ১২ টায় কবি আব্দুল হাকিম পাবলিক অডিটরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) সাথে মতবিনিময় এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন। দুপুর ০১ টায় সন্দ্বীপ উপজেলার ০৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ প্রদান করেন এবং অসহায় ও শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর কিশোরী ক্লাবে বই বিতরণ ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি বীজ বিতরণ করেন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ চুড়ান্ত হয়েছে। আজ (১৯ ডিসেম্বর) থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু। এসময় অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। সেলক্ষ্যে জেলা রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সহ অন্যান্য আরও কর্মকর্তা সন্দ্বীপ উপজেলার ০৮জন প্রার্থী সহ প্রস্তাব ও সমর্থনকারী সকলের সাথে আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এতে সকল প্রার্থী এবং তাঁর অনুসারী, সমর্থক, প্রচার-প্রচারণাকারীকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস ব্যত্যয় করেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গকারীকে কোনরূপ ছাড় দেওয়া হবেনা বলে সতর্ক করা হয়। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে ০৮জন প্রার্থী মতামত গ্রহণ করা হয়েছে এবং মতামত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথেও মত বিনিময় করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শতভাগ স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের সাথে পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য আহবান করেন।
চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, কোন কর্মকর্তার যেকোন ধরণের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সকলকে দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালনে আহবান করা হয়।