ভারতের বিখ্যাত নারায়ণা হৃদয়ালয়া হাসপাতাল ও যশোদা হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের আরো চারটি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি পরিবার পাচ্ছে বিশেষ ছাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলেই এ সুবিধার অন্তর্ভুক্ত। চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এএফসি হেলথ ফর্টিস এসকোর্ট হার্ট ইনস্টিটিউট, ইবনে সিনা ডাগানস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টার, এভারকেয়ার হাসপাতাল ও এপিক হেলথ কেয়ার।
চুক্তি অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকে নিজেদের এবং পরিবার তথা বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এসব ছাড় পেতে হলে দেখাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লিখিত রেফারেন্স বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড।
নারায়ণা হৃদয়ালয়া হাসপাতালে প্রিমিয়ার পরিবারের সদস্যরা আইপিডি/ইনপেশেন্ট বিলে ৮ শতাংশ ছাড় পাবে। এছাড়া ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল সেবা, আবাসন সুবিধা, হাসপাতালের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকছে চুক্তির অধীনে। এসব সুবিধা নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত রেফারেন্স নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে হাসপাতালের রিলেশনশিপ ম্যানেজারের সঙ্গে। হাসপাতালের দক্ষ চিকিৎসকদের অংশহগ্রহণে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে সচেতনতা সেমিনারেরও আয়োজন করা হবে।
ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থিত যশোদা হাসপাতালে আইপিডি এবং ওপিডি বিলে ১৫ শতাংশ এবং সিটি স্ক্যানে ২০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে প্রিমিয়ার পরিবার। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে ভিসা, আবাসনসহ প্রয়োজনীয় সকল সেবাও দেওয়া হবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি গবেষণা ও একাডেমিক কোলাবোরেশনেও সম্মত হয়েছে দু’পক্ষ।
চট্টগ্রামে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসাল্টেশন সেন্টারে সব ধরনের প্যাথলজিকাল টেস্টে ৩৫ শতাংশ, সকল পিসিআর এবং রেডিওলজিকাল ও ইমেজিং টেস্টে ৩০ শতাংশ, ডেন্টাল সার্ভিসে ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এপিক হেলথ কেয়ারে সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল টেস্টে ৩০ শতাংশ এবং রেডিওলজি, আল্ট্রাসাউন্ড, কার্ডিয়াক টেস্ট, পুলমোনারি টেস্ট ও নিউরোলজি টেস্টে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে। ফর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসা, ডায়াগনস্টিক সার্ভিস ও কেবিনসহ সবরকম সেবায় বিভিন্ন হারে ছাড় রয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে সবরকম সেবায় ৮ শতাংশ করে ছাড় রয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জন্য।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টির সেক্রেটারি বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত প্রত্যেকেই একটি পরিবার। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ কাজ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নত চিকিৎসাক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ চিকিৎসা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছি, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।