সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণের চট্টগ্রামে পাহাড়গুলোতে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নেয়ার জন্যে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয় । মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর ও ঝিল ১,২,৩, বেলতলীঘোনা, টাংকির পাহাড়, মতিঝর্ণা, ষোলশহর ও পোড়াকলোনী এর ঝুকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার( ভূমি) উমর ফারুক বলেন,আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।মানুষের জানমাল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান মহোদয়ের নির্দেশনায় নগরীর ৬ জন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরে ৬ টি সার্কেল এর মাধ্যমে ভাগ করে পাহাড় রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,পাহাড়ে যাতে মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয় সে জন্যে কাজ করছি।মাইকিং থেকে শুরু করে সকলকে সচেতন করার লক্ষে জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে।আজকেও ঝুকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে ১০০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।তাদের জন্যে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিন আগে বেলতলীঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে ব্যাক্তি বা সরকারী যার মালিকানায় পাহাড় থাকুক যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।