
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি দখল ও নির্যাতন বেশি হয়েছে। আওয়ামীলীগ হিন্দুদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক মনে করে। আবার দূর্গাপূজার সময় তারাই হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুর করে। অথচ বিএনপি সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ নেই যে তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জায়গা জমি দখল করেছে। বিএনপি সংখ্যালঘু তত্বে বিশ্বাস করেনা। কিন্তু আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা আছে যারা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করেছে। আওয়ামীলীগ দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থেকেও শত্রু সম্পত্তি আইন নিষ্পত্তি করতে পারে নাই।
তিনি সোমবার (৬ জানুয়ারী) বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ২১ নং জামালখাঁন ওয়ার্ডের আসকার দিঘীর পাড়ে লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে কম্বল বিতরনবিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে। এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক যার যার ধর্মীয় অধিকারগুলো স্বাচ্ছন্দে বিনাবাধায় উপভোগ করবে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খৃষ্টান এমন কোনো জিজ্ঞাসা কিন্তু ছিলো না। স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
আসকার দিঘীর পাড় শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরের সভাপতি দীপক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জামাল খাঁন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা দিদারুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক সাহেদ বক্স, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আশরাফুজ্জামান স্বপন, আবু মো. মহসিন চৌধুরী, জসিম মিয়া, কামাল হোসেন, হাসানুল করিম চৌধুরী, দিদারুল করিম, শাহ নেওয়াজ, আলী হোসেন, হিন্দু ফোরাম নেতা সুভাষ দেব, রঞ্জিত দে, অলোকেশ দাশ অপু, অঙ্গ সংগঠনের নেতা ইলিয়াছ আলী, আমিন উল্লাহ, মো. হাসান, মাইন উদ্দিন খান রাজিব, আবু সালেহ আবিদ, নুর হোসেন, সৈয়দ সাফওয়ান আলী, ইমরান হোসেন, মোবারক হোসেন, শাহ সাবাহ আনি প্রমূখ।