স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। জাপান সরকার জাইকার মাধ্যমে যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন করে, সেসব প্রকল্পের সুনাম রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নানামুখী সুবিধা ভোগ করছে এবং তাদের জীবন মান উন্নত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে জাপানের ভূমিকা অপরিসীম।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ১১ টায় চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসনের বলরুম মোহনায় চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প (২য় পর্যায়) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি, স্থানীয় সরকার সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জাইকা বাংলাদেশের চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে,ওয়াসার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন করার কাজ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের। রাজনৈতিক দলগুলো জনকল্যাণে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেটাই প্রত্যাশিত। এখন বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তানের দুঃশাসন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে মুক্ত করেছেন। একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন চলছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড় তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশাকে সোনার বাংলায় পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্ত সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন তিনি দেখে যেতে পারেননি। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্বে অবিচল থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিল নাজুক। কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে। ১৯৯৬ সালে দেশের দারিদ্র্য সূচক ছিল ৪২ শতাংশ, বর্তমানে এটি ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এক সময় চট্টগ্রামে ওয়াসার পানির অবস্থা ছিল নাজুক। বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে পানি সঙ্কট নিরসনে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে, যার ফলে চট্টগ্রামে এখন পানির সমস্যা নেই। বিএনপি সরকার চট্টগ্রামে পানি সঙ্কট নিরসনে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। রাস্তায় রাস্তায় পানির জন্য কলসি মিছিল করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। এখন আর পানির জন্য চট্টগ্রামে হাহাকার নেই। এখন সবদিক থেকেই মানুষ অনেক শান্তিতে আছে।