বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন (সিইউমান) ২০২৪”, যার আয়োজক হিসেবে থাকছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থা (সিইউমুনা)।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হতে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্যটি হল “সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সুনীল অর্থনীতির প্রসারে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি”। আজ শুরু হতে যাচ্ছে উক্ত সম্মেলনের প্রতিনিধি নিবন্ধন কার্যক্রম।
উক্ত সম্মেলনে প্রতিনিধিগণ ১০টি কমিটিতে বিভক্ত হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে তাদের কূটনৈতিক দক্ষতার সাহায্যে বিশ্বব্যাপী চলমান বিভিন্ন সমস্যার সময়োপযোগী সমাধান নিরূপণে কাজ করবে। কমিটিগুলো হল নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি), জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ-১ (ডাইসেক), জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচআরসি), আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও), পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক সংস্থা (ওপেক), আর্কটিক কাউন্সিল, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি), বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আইপি)।
এবারের সম্মেলনের মহাসচিব, উপ-মহাসচিব ও মহাপরিচালক হিসেবে যথাক্রমে রয়েছেন, আবদুল্লা আল জেদান, মোঃ তারিক মনাওয়ার ও ইসফাকুল কবির আসিফ। সম্মেলনটিতে আয়োজক হিসেবে আরও থাকছেন প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী।
সম্মেলনটির মহাসচিব আবদুল্লা আল জেদান বলেন, চবিতে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২৪’ এর পর্দা উন্মোচন হয়েছে এবং এ নিয়ে আমি এবং আমার দল যথেষ্ঠ আশাবাদী এবং সম্মেলনকে সুন্দরভাবে আয়োজন করতে আমরা প্রস্তুত। দেশ বিদেশের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধি কে যুক্ত করার লক্ষ্য রেখে আমার দল নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আগামী বছরের প্রথমে এই শিক্ষামূলক সম্মেলনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীরা সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও সুনীল অর্থনীতির প্রসার সম্পর্কে অবহিত হয়ে ভবিষ্যত নেতৃত্বে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। একইসাথে এই সম্মেলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকেও বহির্বিশ্বের ধ্যান-ধারণার সাথে পরিচিত হতে আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমি মনে করি।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্যের কথা বলতে গিয়ে উপ-মহাসচিব মোঃ তারিক মনাওয়ার বলেন, এবারের সম্মেলনে আমরা চট্টগ্রাম-এর পরিচয় ‘বন্দর নগরী’-কে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিপাদ্য ঠিক করেছি। একইসাথে বর্তমান বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও সুনীল অর্থনীতির প্রসারে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের অবহিত করাও আমাদের উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের ছাত্র-ছাত্রীদের এই সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আহবান করছি। এতে শিক্ষার্থীরা সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ নিয়ে আলোচনা ও চিন্তা-ভাবনাকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন।