দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ’র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমি দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছি। দল যদি আমাকে বিবেচনা করে আমি নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’
দেবাশীষ পাল দেবু চট্টগ্রামের বন্দর এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র বিজয় পাল ও মাতা সুকৃতি পালের একমাত্র ছেলে। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন দেবু।
এরপর ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন দেবাষীষ পাল দেবু। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (দিবা-শাখা) ছাত্রলীগের সভাপতি হন তিনি। সেই সময়ে জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে চট্টগ্রামের মাটিতে প্রতিহত করার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। নিউমার্কেট এলাকায় প্রতিরোধ মিছিলে শিবির ক্যাডার ও পুলিশের গুলিবর্ষণে তার সহযোদ্ধা এনামুল হক মনি ও টিটু রায় শহীদ হন এবং আরও অনেকের সাথে গুলিবিদ্ধ দেবাশীষ পাল দেবু এখনো শরীরে বহন করে চলেছেন স্প্রিন্টার।
২০০০ সালে শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ১২ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন দেবাশীষ পাল দেবু। এরপর সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের (দিবা)’র জিএস নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে দুই দফায় কারাবরণ করেন। যুবলীগের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন দেবু।
‘সুচিন্তা বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্য হিসাবে কাজ করছেন দেবাশীষ পাল দেবু। জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ বিরোধী সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় কর্তৃক “কৃতি স্মারক পুরষ্কার” এ ভূষিত হন তিনি।
বিশ্বকে স্তব্ধ করে দেওয়া করোনাকালে গৃহবন্দি অসহায়-দুঃস্থদের ভরসার প্রতীকে পরিণত হন দেবাশীষ পাল দেবু। সেই সময় অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, রান্না করা খাবার, সবজি বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা ও ফ্রি ঔষধ বিতরণ, ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার সহায়তা, রোগী পরিবহনের জন্য ফ্রি সিএনজি অটোরিকশা সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, অপেক্ষাকৃত কম জটিল, বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও এমবিবিএস ডাক্তারের সমন্বয়ে মেডিক্যাল কুইক রেসপন্স টিম পরিচালনা করেন দেবু। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফ্রি করোনা টিকা নিবন্ধন বুথ স্থাপন করে ভাসমান ও নিম্ন আয়ের লোকদের ফ্রি করোনা টিকা নিবন্ধন ও টিকা কার্ড প্রিন্ট কার্যক্রম পরিচালনা, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও লিফলেট বিতরণ করেও সুনাম কুড়ান দেবাশীষ পাল দেবু।