আজ রবিবার ║ ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ রবিবার ║ ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ║২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

    জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ চট্টগ্রামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছৈয়দ মাশুক মাঈনুদ্দিন

    চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিপ্লব ঘটাতে মাইজভান্ডার দরবারের সহযোগিতা থাকবে

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    মঈনীয়া যুব ফোরাম বাংলাদেশের কার্যকরী সভাপতি শাহজাদায়ে গাইছুল আজম ছৈয়দ মাশুক মাঈনুদ্দিন আল হাসানী আল মাজাইভান্ডারী বলেছেন, চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিপ্লব ঘটাতে হবে। ইসলামী সাহিত্য সাংস্কৃতি দিনদিন ঝিমিয়ে পড়ছে। এক সময়ে মরমী সংগীত, কাওয়ালী গানের বিভিন্ন জায়গায় আসর বসত। ঝিমিয়ে পড়া সাংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাংস্কৃতিক সংশ্লিষ্ট যে সব সংগঠন রয়েছে সেগুলো সহযোগিতা করবে। জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ এর সাথে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ মিলনাতয়নে জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ চট্টগ্রাম আয়োজিত ইসলামী সাংস্কৃতক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
    বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনের সভাপতি কামরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গীতিকার নজরুল ইসলাম ও জাতীয় কবিত মঞ্চের নেতা কবি সুলতান আহমদ কমলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মঈনীয়া যুব ফোরাম বাংলাদেশ কার্যকরী সভাপতি শাহজাদায়ে গাইছুল আজম ছৈয়দ মাশুক মাঈনুদ্দিন আল হাসানী আল মাজাইভান্ডারী।

    উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও নজরুল গবেষক কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিয়ষক উপ কমিটির সদস্য এম এ রহিম, ছালেহ আহম্মদ-হাছান বানু ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান ডাঃ মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসাইন হিরু, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শাহিদা আকতার জাহান, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম মহনগর সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফ্ফার খান, এ. কে. এম মোফাজ্জল হায়দার, রাজনীতিবিদ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব দীপক কুমার পালিত, চট্টগ্রাম জেলার নাট্য সংস্থার সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম সাদা, লালন পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও লোক সংগীত শিল্পী লূপর্ণা মূৎসূর্দ্দী লোপা, লালন পরিষদ চট্টগ্রাম সভাপতি ছৈয়দ হোসেন শাহ, এনটিভি ও বাংলা ভিশনের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাহমুদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক নাফিক আব্দুল্লাহ, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা সিরাজুল মোস্তফা, সাউদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ.কে এম নুর হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, টিভি ব্যক্তিত্ব মুহিবউল্লাহ, নারী নেত্রী জন্নাতুন নাঈম চৌধুরী রিকু, সংগঠক ও সাংবাদিক তানভীর আহমেদ, সংগীত শিল্পী এস কে মানিক, সাংস্কৃতি কর্মী ইমতিয়াজ ফারুকী, কবি শেখ ফারুক, লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গফুর তালুকদার, সাংস্কৃতিক কর্মী আমিনুল হক লিটন, এমরান সোহেল ও কবি অভিলাষ মাহমুদ। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে প্রধান অতিথি পুরস্কার তুলে দেন।


    জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও গীতিকার মাহমুদুল হাসান নিজামী উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ইসলামী সাংস্কৃতিতে উপমহাদেশে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল কাজী কবি নজরুল ইসলাম, উনি যেগুলো লিখে গেছে এ পর্যন্ত কোন কবি সাহিত্যিক উনার লেখার ধারে কাছেও যেতে পারেননি। নজরুলের আর্দশে আগামী তরুণ প্রজন্মেকে এগিয়ে নিতে হবে, সবাইকে কবি নজরুলের রচিত লেখাগুলো শিক্ষার্থীদের পড়ার অনুরোধ জানান।
    প্রধান আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ বলেন, শিক্ষার্থীরা পাঠদানে মেধা মননে দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দেশ ও সমাজে তারা যেন ভূমিকা রাখেন।
    প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক সময়ে সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিতেন, এখন সাহিত্য সাংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। এমন কি চট্টগ্রামের কোতোয়ালীর মোড়ে দরবার হোটেলের সামনে পাকিস্তান আমল থেকে কাওয়ালী গানের আসর বসত। রাত জেগে হাজার হাজার মানুষ কাওয়ালী গান শুনত। দেশ বিদেশের নামকরা শিল্পীরা সেখানে অংশ নিত এখন তা হারিয়ে গেছে।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এম এ রহিম বলেন, ছোট বেলায় আমরা বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সভা সেমিনারে অংশ নিতাম। এখন সে আগের মত সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় না। এতে তরুণ সমাজ বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে মৌলাবাদ জঙ্গিবাদসহ দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
    ছালেহ আহম্মদ-হাছান বানু ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন হিরো বলেন, শিশুরা এখন থেকে সাংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে বড় না হলে বড় হয়ে প্রগতিশীল সৃজনশীল কর্মকান্ডে থেকে দূরে সরে যাবে। সৃজনশীল কর্মকান্ডে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি জানান।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print

    সর্বাধিক পঠিত

    আমাদের ফেসবুক

    আমাদের ইউটিউব