চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শহিদ মিনার চত্বরে শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গণ ইফতার কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায়
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজিত হয়।
কর্মসূচির আহবায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামত উল্লাহ ফারাবী বলেন, ইফতারকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা -ইউনেস্কো। রবিবার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দিয়েছে। সেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এবছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইফতার আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিল আমাদের সম্প্রীতির বন্ধন শেখায়। সাস্ট এবং নোবিপ্রবির উচিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মঈন উদ্দিন চিশতী বলেন,ত্যাগ ও সংযমের অমিয় বার্তা নিয়ে এলো মুসলিমজাহানের আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। দিনব্যাপী পানাহার ও পাপাচারমুক্ত থাকার মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ এবং পারস্পরিক ভাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার অন্যতম অনুষঙ্গ পবিত্র মাহে রমজান।
তিনি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয়
গুলোতে দেখা যায় রমজানে ইফতারকে কেন্দ্র করে তৈরী হয় সামাজিক উৎসব।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ইফতার কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা ও ধিক্কার জ্ঞাপন করছি। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আমাদের এই গণ-ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।
গণ ইফতার আয়োজনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং ক্যাম্পাস ও দেশের সার্বিক সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়েছে।