
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন দল তাদের দলীয় মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী চুড়ান্ত করেছ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম (স্বতন্ত্র প্রার্থী) হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন দাখিলের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। দেশের সকল প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটানিং কার্যালয়ে। কিন্তু আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম তার মনোনয়ন ফরমটি চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমানের নিকট দাখিল করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বদিউল আলমের সমর্থিত হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বদিউল আলম ছোট থেকে ছাত্ররাজনীতি করে এখন কেন্দ্রীয় যুবলীগের দায়িত্ব পালন করছেন। যখন আওয়ামীলীগের দূ:সময় ছিল তখন বদিউল আলমের মত ছাত্র যুবকরাই আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করে গেছে। দলের জন্য তাদের ত্যাগ অপরীসীম। তিনি বলেন আমি আর কত দিন বেচেঁ থাকব, আমার বয়স হয়েছে, কিন্তু মনোবল আছে। আগামীতে বদিউল আলমের মত ত্যাগী ও তরুণ নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিকে, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক মফিজুল রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম তূর্ণমূল থেকে গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শিক সৈনিক। সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী ১৫ বছরে তূণমুল ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর অনেক হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আগামীতে আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও দুর সময়ের নেতাকর্মীদের উপর কোন ধরণের পুলিশি হয়রানি, হামলা ও মামলা শিকার হবে না। আমি (মফিজুল রহমান) ত্যাগী ও দুর সময়ের নেতাকর্মীদের পাশে আছি থাকব ইনশাল্লাহ।
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, আমি দীর্ঘ ৪৪ বছর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। রাজনীতি কর্মীদের দলীয় সম্মেলন আসলে একটি পদ ও নিবার্চন আসলে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে। দূর সময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অভিমানি হয়, কিন্ত কখনো দলের সাথে বেইমানি করে না। আমি (বদিউল আলম) দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা শেখ হাসিনা নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পটিয়ার আওয়ামীলীগ আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর সামশুল হক চৌধুরী এমপি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলা, মামলা ও নির্যাতন চালিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এভারে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় সে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আজ পটিয়ার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ এই বেইমান সামশুল হক চৌধুরীকে পটিয়া থেকে বিতারিত করা হবে। পরে তিনি নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের মাঠে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।